বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
দেশের ৭১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবের মধ্যে ৬৩টির পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৪ হাজার ৭৮১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬৫০টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৭টিতে।
দেশে নতুন করে আরো এক হাজার ৬০৬ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৪২ জনের মধ্যে ৩২ পুরুষ এবং ১০ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের বয়সসীমার তিনজন রয়েছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে শিশু রয়েছেন ১২ জন, যাদের বয়স শূন্য থেকে ১০ বছর। এছাড়াও ১১ থেকে ২০ বছরের ২৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২৯০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৭১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৮৫৫ জন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই বাসিন্দা রয়েছেন ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, রংপুর বিভাগে চারজন, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেটে তিনজন করে এবং বরিশাল বিভাগে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে থেকে মারা গেছেন ১১ জন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভয়াবহ ছোঁয়াচে এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।